ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ ভাদ্র ১৪৩২, ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

বাংলানিউজ স্পেশাল

ঢাকার রাস্তায় অ্যাম্বাসেডর, চলবে ট্যাক্সিক্যাব হিসেবেও

মাহমুদ মেনন, হেড অব নিউজ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:১১, ডিসেম্বর ২৮, ২০১১
ঢাকার রাস্তায় অ্যাম্বাসেডর, চলবে ট্যাক্সিক্যাব হিসেবেও

ঢাকা: বাংলাদেশের রাস্তায় এখন চলছে ভারতের জনপ্রিয় গাড়ি অ্যাম্বাসেডর। ইন্ট্রাকো নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে ১০টি অ্যাম্বাসেডর গাড়ি এনে তা বিক্রি করেছে।

আরও গাড়ি আনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

জনপ্রিয়তা পেলে কেবল আমদানিই নয়, দেশেই অ্যাসেম্বল করা হবে অ্যাম্বাসেডর। আর তা চলবে ট্যাক্সি ক্যাব হিসেবে। এ লক্ষ্যে এরই মধ্যে সাভারে একটি কারখানা স্থাপনেরও কাজও এগিয়ে চলেছে।  

ভারতের সিকে বিরলা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান হিন্দুস্তান মোটর্সের সঙ্গে ইন্ট্র্যাকো গ্রুপের এ নিয়ে নীতিগত সমঝোতা হয়েছে।

জনপ্রিয় গাড়ি অ্যাম্বাসেডর দেশটির মন্ত্রীদেরও ব্র্যান্ড। কিন্তু আধুনিকসব গাড়ি ও ব্র্যান্ডের জোয়ারে ভারতের বাজারের অ্যাম্বাসেডরের কদর কমে আসায় প্রতিবেশি দেশে বাজার খোঁজার অংশ হিসেবেই বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকছে হিন্দুস্তান মোটর্স।  

প্রাথমিক পর্যায়ে কমপ্লিট বিল্ট ইউনিট (সিবিইউ) প্রক্রিয়ায় আনা হচ্ছে অ্যাম্বাসেডর। বাংলাদেশের বাজারে এ গাড়িটি জনপ্রিয়তা পাবে বলেই আশা করছে ইন্ট্রাকো গ্রুপ।

আইএসও সার্টিফিকেট প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানটির অবশ্য মূল চিন্তা প্রাইভেট কার হিসেবে নয়, ঢাকার তথা সারা দেশের রাস্তায় ট্যাক্সি ক্যাব হিসেবেই চালানোর ইচ্ছা রয়েছে তাদের। ইন্ট্রাকোর কারিগরি পরিচালক আক্তার কামাল বাংলানিউজকে বলেন, ‘অ্যাম্বাসেডর গাড়িটির প্রতি বাংলাদেশের অনেকেরই আগ্রহ রয়েছে। আশাকরি ব্র্যান্ডটি এখানে জনপ্রিয়তা পাবে। ’

দেশেই অ্যাম্বাসেডর অ্যাসেম্বল করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মার্কেট যাচাইয়ের পরই এ বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। তবে অন্তত ১৫ বছরের চাহিদা মাথায় রেখে একটি কারখানা নির্মাণের কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।

ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য গাড়িগুলো আনতে ২০০ শতাংশ শুল্ক ধরে ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান আক্তার কামাল। তবে ট্যাক্সি ক্যাব হিসেবে ব্যবহারে সরকারের অনুমোদন পেলে গাড়িগুলো ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকা দরে বিক্রি করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

অ্যাম্বাসেডর ট্যাক্সিক্যাব বা প্রাইভেট কার যেভাবেই ব্যবহৃত হোক না কেনো এর মজবুত গঠন, যন্ত্রাংশের সহজলভ্যতা, বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করার সুযোগ অন্য যেকোন গাড়ির চেয়ে বেশি থাকবে বলেই মনে করছে ইন্ট্রাকো। ফলে এটি বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা পাবে বলেও প্রত্যাশা তাদের।

অ্যাম্বাসেডর সিএনজি, এলপিজি, পেট্রোল ও ডিজেল এই সব ধরনের জ্বালানিতেই চালানো সম্ভব। সে কারণে দেশের যেসব এলাকায় গ্যাস সংযোগ নেই সেখানে ডিজেল চালিত অ্যাম্বাসেডরের কদর থাকবে।

সরকারের অনুমতি পেলে সাভারের কারখানা থেকে মাসে ২০০টি করে গাড়ি উৎপাদন ও বাজারজাত করতে পারবে ইন্ট্রাকো।

বাংলাদেশে অ্যাসেম্বল করা অ্যাম্বাসেডরে গ্রাহকের চাহিদা মোতাবেক গাড়ির রং করা হবে বলে জানান আক্তার কামাল।

এদিকে, ভারতের বাজারে অ্যাম্বাসেডরের চাহিদা ক্রমেই কমছে। গত বছর হিন্দুস্তান মটরস ৬ হাজার ৬শ’টি গাড়ি বিক্রি করে যার পরিমান এর আগের বছর ছিলো ৮ হাজারের বেশি।

ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে একসময় ভীষণ জনপ্রিয় ছিলো অ্যাম্বাসেডর। কিন্তু নতুন নতুন গাড়ি আমদানি ও স্থানীয়ভাবে আরও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গাড়ি বাজারে আসায় অ্যাম্বাসেডরের জনপ্রিয়তা ভারতে হ্রাস পাচ্ছে।

এ অবস্থায় প্রতিবেশি বাজারের দিকে চোখ ফেলা ছাড়াও নিজেদের নতুন প্রজন্মের মনোলোভা হতে পারে এমন ডিজাইনে নতুন অ্যাম্বাসেডর বাজারে আনার উদ্যোগ নিয়েছে হিন্দুস্তান মোটর্স।

বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা পেলে নতুন ডিজাইনগুলোও এদেশে আনা হবে বলে আশা করছে ইন্ট্রাকো।

বাংলাদেশ সময় ১৯৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১১ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।