ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ ভাদ্র ১৪৩২, ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

বইমেলা

সেলফি শিকারিদের কবলে জাফর ইকবাল

আসাদ জামান ও আবু তালহা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:২১, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৫
সেলফি শিকারিদের কবলে জাফর ইকবাল ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বইমেলা থেকে: অটোগ্রাফ! সেতো পুরনো কনসেপ্ট। আজকের নেওয়া অটোগ্রাফ কালই হারিয়ে যায়।

বন্ধুদের দেখিয়ে খুব একটা মজাও পাওয়া যায় না।
 
কিন্তু প্রিয় লেখক বা মানুষের সঙ্গে ছবি তুলে যদি ফেসবুকে দেওয়া যায়, মুহূর্তের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বব্যাপী। আর ছবিটা যদি হয় ‘সেলফি’, তাহলে তো কোনো কথাই নেই!
 
এ কারণেই হয়তো হলিক্রস স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্রী সুরভী ‘সার্থক, আমার জীবন সার্থক’ বলতে বলতে বেরিয়ে এলেন ভিড় ঠেলে।
 
কারণ, এইমাত্র প্রিয় লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবালের সঙ্গে সেলফি তুলেছে সে। ঘটনাটি তার কাছে জীবন সার্থক হওয়ার মতোই!
 
শুধু সুরভী নয়, ওর মতো আরো প্রায় শতাধিক কিশোর-কিশোরীর জীবন সার্থক হয়েছে শুক্রবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মেলায় এসে। এদিন বিকেলে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রান্তে ঢুকতেই সেলফি শিকারিদের কবলে পড়েন প্রখ্যাত বিজ্ঞান লেখক ও শিশু সাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
 
গত মেলাও হয়তো শুধু অটোগ্রাফ নিয়েই তুষ্ট ছিলো এসব ক্ষুধে পাঠক। কিন্তু এবার যোগ হয়েছে সেলফিবাজী। প্রিয় লেখকদের দেখলেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে সেলফি তোলার জন্য। শুক্রবার এ রকমটাই ঘটলো মুহম্মদ জাফর ইকবালের ক্ষেত্রে।
 
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সোহওরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকতেই তাকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে ক্ষুধে পাঠকের দল। সবাই চায় মুঠোফোনে সেলফি তোলার সুযোগ। শিশুদের আবদার মেটাতে মুহম্মদ জাফর ইকবাল গিয়ে দাঁড়ান বইয়ের অনুকৃতি’র পাশে।
 
শুধু সেলফি তোলা নয়, এসময় প্রিয় লেখকের পায়ে হাত দিয়ে সালামও করে কেউ কেউ। এদের অনেককেই বুকে টেনে আদর করেন জাফর ইকবাল। প্রত্যেকের মাথায় বুলিয়ে দেন স্নেহের পরশ।
 
কথা হয় গুলশান থেকে বাবার সঙ্গে মেলায় আসা ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী রিয়ার সঙ্গে। প্রিয় লেখকের সঙ্গে সেলফি তুলতে পেরে যারপরনাই খুশি রিয়া।
 
সে বলে, জাফর ইকবাল স্যারের অনেক বই পড়েছি। আজ তাকে খুব কাছ থেকে দেখলাম। সেলফি তুললাম। যাবার সময় স্যারের সব বই কিনে নিয়ে যাবো।
 
মীরপুর থেকে মায়ের সঙ্গে মেলায় আসা ফারাবির প্রতিক্রিয়াও ঠিক একই রকম। সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র ফারাবি বাংলানিউজকে বলে, জাফর ইকবাল স্যারের সঙ্গে সেলফি তুলতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। এত বড় মাপের একজন লেখকের সঙ্গে নিজের ছবি দেখে ভালো লাগছে। ছবিগুলো প্রিন্ট আউট করে রেখে দেব।
 
সেলফি শিকারিদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বটমূলে গিয়ে বসেন জাফর ইকবাল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেখানেই বসে সব বয়সী পাঠকদের অটোগ্রাফ দিচ্ছিলেন জাফর ইকবাল। আর ক্ষুদে পাঠকদের সেলফি তোলার ধুমও চলছিলো সমান তালে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।