ঢাকা, সোমবার, ৯ ভাদ্র ১৪৩২, ২৫ আগস্ট ২০২৫, ০১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জলবায়ু ও পরিবেশ

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: কক্সবাজারের দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৪৬, অক্টোবর ২৫, ২০২২
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: কক্সবাজারের দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

কক্সবাজার: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূল এলাকায় ছয় থেকে সাত ফুট উচ্চতায় প্লাবিত হয়েছে। জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালীর ধলঘাটা, সদর উপজেলার কুতুবদিয়া পাড়া, সমিতিপাড়ায় জোয়ারের পানি ঢুকেছে।

বিশেষ করে টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি উচ্চতায় দ্বীপের চারপাশ প্লাবিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের প্রাথমিক হিসেব মতে, কক্সবাজার জেলার ৪৭টি ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ইউনিয়নের দু'শত গ্রামেরও বেশি জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। দুর্গত এলাকার অনেকেই এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে।  

ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. আবু সুফিয়ান বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিক তথ্য মতে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জেলার ৪৭টি ইউনিয়নের পাঁচ হাজার ঘরবাড়ি আংশিক এবং ১৪ শ’ ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় দুই লাখ মানুষ।

তিনি বলেন, সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্ট, ডায়াবেটিস পয়েন্ট, হিমছড়ি ইনানী এবং টেকনাফের কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।  

সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. হাবিব খাঁন জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি উচ্চতায় পানি উঠেছে। সাগর সংলগ্ন দ্বীপের চারদিকে সবকটি স্থাপনা পানিতে তলিয়ে গেছে।

এছাড়াও ঢেউয়ের তোড়ে দ্বীপে যাতায়াতের একমাত্র জেটিটির বিভিন্ন অংশে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়া জোয়ারের পানিতে ভেঙে গেছে দ্বীপের চারপাশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২২
এসবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।